আপনি কি ঈশ্বরের নিজভূমি পদব্রজে পরিভ্রমণ করে ক্লান্ত হয়ে পরেছেন? বিলাসবহুল হাউসবোটে আরামদায়ক ব্যাকওয়াটার জল-পরিভ্রমণের আনন্দ কিভাবে পেতে পারেন? ‘ প্রাচ্যের ভেনিস’ নামে খ্যাত আলাপুজহা থেকে আপনি একটি হাউস বোট ভাড়া করতে পারেন। দুইপাড়ের নারকেল বীথিকা এবং ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে কেরালার রাইস বওল নামে পরিচিত কুট্টানাড-এর খাল দিয়ে ধীরিগতিতে হাউসবোট এগিয়ে যেতে থাকে।
তারপরে কেরালার অন্যতম মুখ্য আকর্ষনীয় পর্যটনস্থল কুমরাকম-এর দিকে এগিয়ে যান। কুমরাকম পৌঁছিয়ে আপনি প্রবেশ করবেন বাস্তবিক বিস্ময়কর বিশ্বে। কতগুলি দ্বীপ নিয়ে গঠিত নিজস্ব চরিত্রের ধীর ,শান্ত গতির ছোট্ট একটি গ্রাম। এর রূপ, শব্দ ও গন্ধ অবশ্যম্ভাবী রূপে আপনাকে ঘিরে ধরবে। কুমরাকম খানিকক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিয়ে আপনি ভাইকমর দিকে এগিয়ে যেতে পারেন ।
ভাইকম যাবার পথে ভেমবানাড লেক-এ আপনি দেখতে পাবেন ব্যাকওয়াটার(আবদ্ধ জলাভূমি) গ্রাম্য জীবন। কেরালার বৃহত্তম ব্যাকওয়াটার থেকে দৃষ্টিনন্দন স্বাছ্যন্দ উপভোগ করুন। দুইপাড়ের সতেজ এবং বিশুদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শ্যামলিমা কখনই আপনার দুচোখকে ক্লান্ত করবেনা। মৃদুমন্দ সমীরণের ইশারায় দুইপাড়ের নারকেল বীথিকাচ্ছন্ন সূর্যস্নাত স্নিগ্ধ জলরাশি আপনাকে মুগ্ধ করবে। আপনি জানবেন যে, আপনার অন্তঃস্থল এই মনমুগ্ধকর দৃশ্য আপনার বাকি জীবনে বহন করে নিয়ে যাবে।
জল ভ্রমণের পরবর্তী পর্যায়ে আপনি ছোট্ট একটা দ্বীপ দেখতে পাবেন, যার নাম পাথিরামানাল, মনে হবে যেন ব্যাকওয়াটারে ভেসে রয়েছে। অল্পক্ষনের জন্য এখানে একটু নামুন, আপনার গাইড এই জায়গা ঘিরে থাকা কিছু আকর্ষক পৌরানিক কাহিনী আপনাকে শোনাতে পারেন। যাত্রাপথের বাকি অংশে পরবর্তী গন্তব্য হল থানীরমুক্কম। এই গ্রামটি পরিচিত সল্ট ওয়াটার বেরিয়ার নামে। বিশেষভাবে পরিচিত থানীরমুক্কম বাঁধ নামে। এটি হল ভারতের বৃহত্তম পঙ্ক নিয়ন্ত্রক। এই জায়গায় ভ্রমণ করতে করতে কেরালার সুস্বাদু আহারের স্বাদ গ্রহণ এক মনোরম অভিজ্ঞতা।
পরবর্তী ব্যাকওয়াটার গন্তব্য হল ভাইকম। এখানকার অনেক মনোরম দৃশ্যাবলী আপনাকে আকর্ষণ করবে। এখানে কেরালার প্রচীন ঐতিহ্যের কিছু নিদর্শন আপনি খুঁজে পাবেন। এই শহরের মুখ্য আকর্ষন হল ভগবান শিবের বিখ্যাত মন্দির। এখানকার ক্লান্তিহরন কারী সবুজ নৈসর্গিক দৃশ্য আপনার জন্য আরেকটি সন্তোষজনক অভিজ্ঞতা।
ভাইকম থেকে এখানে কেরলের সুস্বাদু আহার গ্রহণ করে উজ্জীবিত হয়ে আপনি এগিয়ে যেতে পারেন কুম্বালাঙ্গীর দিকে। নারকেল বীথিকা এবং ধানেরক্ষেত দিয়ে ঘেরা আকর্ষনীয় ব্যকওয়াটার থাইক্কাট্টুসসেরী হয়ে যাত্রা করুন। ব্যাকওয়াটারের ধার বরাবর রাজকীয় চাইনিজ ফিসিং নেট কুম্বালাঙ্গীতে আপনাকে অভর্থ্যনা জানাবে। কুম্বালাঙ্গীতে দেশীয় পদ্ধতিতে পোক্কালি ফার্মিং করা হয়। ক্ষেত থেকে ধান তুলে নেবার পরে সেখানে চিংড়ি মাছের চাষ করা হয়।
কুম্বালাঙ্গীর মৃদুমন্দ ব্যাকওয়াটারের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করে আমরা এগিয়ে যাব ফোর্ট কোচির দিকে। এই জায়গাটি বিখ্যাত চাইনিজ ফিসিং নেট এবং আনেক সংখ্যক ঐতিহাসিক স্থানের জন্য। সম্ভব হলে এই জায়গাটি পায়ে হেটেঁ ভ্রমণ করা সবথেকে ভালো। তাহলেও হাউসবোট থেকেও এর দৃশ্যাবলী মনোমুগ্ধকর। ফোর্ট কোচিকে বিদায় জানিয়ে আমাদের পরবর্তী অন্তিম গন্তব্যস্থল হল বোলঘাট্টি।
বোলঘাট্টি দ্বীপে যাবার পথে এরনাকুলামের বিস্তীর্ণ দিকচক্রবাল এবং পূর্ব্দিকের জাহাজ-নির্মাণ-স্থলের দৃশ্যাবলীর মধ্যে দিয়ে যাত্রাপথ এগিয়ে যাবে। বোলঘাট্টিতে পৌঁছোবার পরে আমরা একটু বিশ্রাম নেব। মৃদুমন্দ বাতাস এবং সুর্যালোকে নিজেকে পুণরায় উজ্জীবিত করার জন্য হাত –পা ছড়িয়ে দিন। এই যাত্রার স্মৃতি আপনার মনে গভীর রেখাপাত করবে এবং দীর্ঘ সময়ধরে আপনার হৃদয়বীনায় সুর তুলে আপনার মনকে স্পন্দিত করবে।
করুন ডিস্ট্রিক্ট টুরিজম প্রমোশন কাউন্সিল (ডিটিপিএস)-এর সাথে। ফোনঃ Ph: +91 477 2253308, 2251796 Email: info@dtpcalappuzha.com
গন্তব্যে যাবার জন্যনিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল: আল্পপুজহা নিকটতম এয়ারপোর্ট: কোচিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, আলাপ্পুজহা শহর থেকে 85 কিমি দূরত্বে।
ভৌগোলিক তথ্যউচ্চতাঃ সমুদ্রতলের সমান।
ম্যাপডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজম, গভর্মেন্ট অব কেরল, পার্ক ভিউ, কেরল, ইন্ডিয়া- 695033
ফোনঃ +91 471 2321132, ফ্যাক্সঃ + 91 471 2322279, ইমেল: info@keralatourism.org.
সমস্ত স্বত্ব © কেরল পর্যটন 2020. কপি রাইট | ব্যবহারের নিয়ম | কুকি নীতি | যোগাযোগ করুন
আই এন ভি আই এস মাল্টিমিডিয়া দ্বারা বিকাশকৃত এবং রক্ষিত।