কেরালা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট করপোরেশনের গাভি ইকো-টুরিজম বর্তমানে পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে। অনেক দিকথেকে এই প্রোজেক্টটি আলাদা এবং বেশীরভাগ পর্যটকরা হলেন প্রকৃতি প্রেমিক এবং রোমাঞ্চ প্রিয় । খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গাভির পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষতঃ যখন বিশ্ব স্বীকৃত পর্যটন ‘অ্যালিস্টার ইন্টারন্যাশনাল’ প্রথম সারির মুখ্য ইকো-টুরিজমগুলির মধ্যে একে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ভারতের অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান হিসেবে গণ্য করেছে।
গাভি প্রজেক্টের হাইলাইট হল স্থানীয় মানুষজন এখানে গাইড, মালি এবং রাধুনির মত কাজে নিযুক্ত রয়েছে। এটি স্থানীয় মানুষদের জীবনধারনের সুযোগ করে দিয়েছে এবং তারসাথে প্রকৃতিকে রক্ষা করার সচেতনার কাজও করেছে। পাঠনামতিট্টা জেলার গাভি প্রজেক্ট পর্যটকদের জন্য ট্রেকিং, ওয়াইল্ড লাইফ পরিদর্শন, বিশেষ ভাবে বানানো তাবুতে আউটডোর ক্যাম্পিং এবং নাইট সাফারির মত ক্রিয়াকলাপের ডালি সাঁজিয়ে রেখেছে।
গাভি যাবার পথটি চা বাগিচা দিয়ে ঘেরা, যেটি একটি সতেজ অভিজ্ঞতা। গাভি যাবার পথের ধারে অনেক দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে যেমন, মুন্ডক্কয়াম, কুট্টিক্কানম, পীরমেদু এবং ভান্দিপেরিয়ার, যেখান থেকে রাস্তাটি গাভির দিকে চলে গেছে।
গাভির শান্ত ইকো-লজ’ গ্রীন ম্যানসনে’ পৌঁছবার পরে মনে হবে মা যেন আপনাকে তার রক্ষা বন্ধনে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখার জন্য অপেক্ষা করছেন। ‘গ্রীন ম্যানসন’ থেকে গাভি লেক এবং তার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের চিত্তাকর্ষক স্বাদ গ্রহণ করতে পারা যায়। গ্রীন ম্যানসনে থাকা ছাড়াও পর্যটকরা ট্রী হাউসে থাকারও চেষ্টা করতে পারেন এমনকি জঙ্গলে তাবু খাটিয়েও থাকতে পারেন। এখানে পর্যটকরা ট্রেকিং-এর অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করতে পারেন, যেগুলি দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে প্রশিক্ষিত স্থানীয় লোকজনেরা। যারা নির্জনে একা থাকতে চান তারা গাভির শান্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এমনকি চাইলে লেকের শান্ত জলে ক্যানোয়িং করতে পারেন বা শ্বাসরোধকর সুর্যাস্ত উপভোগ করতে পারেন। পর্যটকদের সাধারণতঃ নিরামিষ আহার এবং টিফিন দেওয়া হয় , যেটি এই জায়গার পরিবেশ-বান্ধব বৈশিষ্ট যগ করে।
এই জায়গাটি ফ্লোরা অ্যান্ড ফাউনা (ঊদ্ভিদ ও প্রাণী জীবন) সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছে পাহাড় ও উপত্যকা, ট্রপিকাল ফরেস্ট, ছড়ানো ছিটানো ঘাসবন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলপ্রপাত, এবং দারুচিনি বাগিচা। অবলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলির মধ্যে নীলগিরি থার এবং সিংহ লেজ বিশিষ্ট মাক্যাও প্রায়ই গাভির চারপাশে দেখা যায়। দীর্ঘ চঞ্চু হর্নবিল, কাঠঠোকরা এবং মাছরাঙ্গা পাখিসহ 260-রও বেশী প্রজাতির পাখি সহ আক্ষরিক অর্থে পক্ষিপ্রেমিকদের স্বর্গ হল গাভি।
শ্বাসরোধকর কিছু দর্শীয় স্থান রয়েছে গাভিতে যেমন, মনোমুগ্ধকর গভীর গিরিসংকট আবং তার নীচেই রিয়েছে গভীর বনানী। গ্রীণ ম্যানসনের কাছে ভিউ পয়েন্ট রয়েছে কচু পম্পা যেখানে নীলগিরি থারকে চড়ে বেড়াতে দেখা যেতে পারে।
গাভি থেকে অল্পদূরত্বে পায়ে হেটে তীর্থস্থান হল বিখ্যাত সবরিমালা। যারা রাত্রের বনজীবন দেখতে আগ্রহী, তাদের জন্য কুল্লুর, গাভি পুল্লুমেদু, কচু পম্পা এবং পঞ্চক্কানম অয়াইল্ড লাইফ পরিদর্শনের প্রচুর নাইট সাফারির বন্দোবস্ত রয়েছে।
গাভির আরেকটি অসাধারণ বৈশিষ্ট হল জঙ্গলে ক্যাম্পের মধ্যে থাকা। ক্যাম্পিং সাইটে কেউ তাবু খাটিয়ে থাকতে পারেন, যেটা কিনা ভারতের অনেক জঙ্গলে বিরল। যখন রাত্রির নৈশব্দের মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে চারপাশে বন্যপ্রাণীর বিচরণ উপলব্ধি করা যায়, যে অভিজ্ঞতাকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।গাছের মাথায় বাড়ি রয়েছে যেখানে বাসকরে খেচর জীবনের পরিপূর্ণ স্বাদ আস্বাদন করা যায়।
গাভিতে আদিবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মত দুঃসাহসিক কাজ একে একটি আলাদা বৈশিষ্ট প্রদান করেছে। বনের ঐতিহ্যগত জ্ঞান এবং জীবন যাত্রা গাভির চারপাশে এর আসল রূপকে ধরে রাখতে সাহায্য করেছে।
পর্যটকদের উপরে গাভি তার জাদুমন্ত্রের ছাপ ফেলতে বাধ্য এবং এই সুযোগ জীবনে হাতছাড়া করা উচিত নয়। গাভির বন্যজীবন অমলীন, যা কিনা পর্যটকদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, তাদের অভিপ্রায় এবং কার্যকলাপের জন্য তারা দায়ী থাকবেন, যেটি আগামী দীর্ঘ সময় ধরে গাভির পরিচর্যাকে বয়ে নিয়ে যাবে।
ডিটিপিসি পাঠনামতিট্টা গাভি প্যাকেজ টুর করে থাকে।
নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন: কোট্টায়ম, প্রায় 114 কিমি। নিকটতম এয়ারপোর্ট: মাদুরাই এয়ারপোর্ট (তামিল নাডু) প্রায় 140 কিমি এবং কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় 190 কিমি।
অবস্থানঅক্ষাংশ : 9.437208, দ্রাঘিমাংশ : 77.166066
ম্যাপডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজম, গভর্মেন্ট অব কেরল, পার্ক ভিউ, কেরল, ইন্ডিয়া- 695033
ফোনঃ +91 471 2321132, ফ্যাক্সঃ + 91 471 2322279, ইমেল: info@keralatourism.org.
সমস্ত স্বত্ব © কেরল পর্যটন 2020. কপি রাইট | ব্যবহারের নিয়ম | কুকি নীতি | যোগাযোগ করুন
আই এন ভি আই এস মাল্টিমিডিয়া দ্বারা বিকাশকৃত এবং রক্ষিত।