সমুদ্র তল থেকে 1600 মিটার উচ্চতায় মুথিরাপুরা, নল্লাথান্নি ও কুন্ডালা এই তিনটি পার্বত্য নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত অবস্থিত মুন্নার এই শৈল শরটি একসময় দক্ষিন ভারতে ব্রিটিশ সরকারের গ্রীষ্মকালীন রিসর্ট ছিলো। বিস্তৃত অঞ্চলে ইতস্তত ছড়ান চা বাগিচা, পাক দিয়ে ওঠা রাস্তা এবং অবসর কালীন সুযোগ সুবিধা এই শহরটিকে জনপ্রিয় রিসর্ট টাউন করেছে। এর অরণ্যের উদ্ভিতকুলে এবং তৃণ ভূমিতে জন্মান গাছগুলির মধ্যে অদ্ভুত হচ্ছে নীলাকুরিঞ্জি। এর ফুল প্রতি বারো বছরে একবার পার্বত্য ভূমিকে নীল রঙে মুড়ে দেয়। পরবর্তী ফুল ফোটার সময় 2018 সাল। মুন্নারে দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ আনামুদি অবস্থিত যার উচ্চতা 2695 মিটার। ট্রেক করার পক্ষে আনামুদি একটি আদর্শ স্থান।
চলুন বেড়িয়ে পরা যাক, আবিস্কার করা যাক মুন্নারের কিছু আকর্ষনীয় স্থান যা পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ দেবে।
মুন্নারের কাছাকাছি থাকা একটি আকষনীয় হচ্ছে ইরাভিকুলম ন্যাশনাল পার্ক। এই পার্ক টি বিখ্যাত বিপন্ন প্রজাতির নীলগিরি থার এর জন্য। 97 কিলোমিটার বিস্তৃত এই পার্ক টি দুস্প্রাপ্য প্রজাপতি , জন্তু এবং পাখীর আশ্রয়স্থল। ট্রেকিং এর জন্য এই পার্ক টি দারুন, এই পার্ক থেকে কুয়াশায় মোড়া চা বাগিচাগুলিকে ছবির মত দেখা যায়। নীলাকুরিঞ্জি ফুলে যখন পর্বতের ঢাল গুলি সব নীল কারপেটে মুড়ে যায় পর্যটকদের কাছে তখন এর আকর্ষণ বেড়ে যায় বহুগুণ। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার এই অংশে ছেয়ে থাকা এই গাছে ফুল আসে প্রতি বারো বছরে একবার মাত্র।
আনামুদি পিকআনামুদি শৃঙ্গ ইরাভিকুলম ন্যাশনাল পার্কের ভিতরেই অবস্থিত। এটি দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং এর উচ্চতা 2700 মিটার। ইরাভিকুলমে বন এবং বন্যপ্রাণী দপ্তর থেকে অনুমতি এই শৃঙ্গে ওঠা যায়।
মাত্তুপেট্টিমুন্নার শহর থেকে 13 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাত্তুপেট্টি একটি আকর্ষনীয় স্থান। 1700 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মাত্তুপেট্টি পরিচিত তার কংক্রিটের তৈরি বাধ এবং হ্রদের জন্য। চারপাশে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই হ্রদে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আপনি অনায়াসে আরামে নৌকা বিহার করতে পারেন।মাত্তুপেট্টি তার ডেয়ারি ফার্মের জন্যও পরিচিত। এই ফার্মটি চালায় ইন্দো- সুইস লাইভস্টক প্রজেক্ট। এখানে আপনি বেশী দুগ্ধদানে সমর্থ গাভী দেখতে পাবেন।
পল্লিভাসলমুন্নারের চিথিরাপুরম থেকে 3 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পল্লিভাসল হচ্ছে কেরালার প্রথম জল-বিদ্যুত প্রকল্প। বিস্তৃত প্রাকিতিক সৌন্দর্যর কারণে এই স্থানটি দর্শনার্থীদের কাছে পিকনিক স্পট হিসেবে প্রিয়।
চিন্নাকনাল এবং আনয়িরঙ্গালমুন্নারের কাছেই চিন্নাকনাল এবং তার জলপ্রপাতটি অবস্থিত যা কিনা পাওয়ার হাউজ জলপ্রপাত হিসেবে পরিচিত, সমুদ্র তল থেকে 2000 মিটার উচ্চতায় একটি খাঁড়া পাথর থেকে এই জলপ্রপাতটি ঝরে পরছে। পশ্চিমঘাট পর্বত মালার অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যরাজিতে সমৃদ্ধ এই স্থান। আপনার যাত্রাপথে চিন্নাকনাল থেকে সাত কিলোমিটার ও মুন্নার থেকে 22 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আনয়িরঙ্গল সবুজ চা বাগিচায় ঢাকা। এর জলাধারে একদফা ভ্রমণ এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। আনরিরঙ্গল ঘিরে রয়েছে সবুজ চা বাগিচা এবং চিরহরিৎ অরণ্য।
টপ স্টেশনমুন্নার থেকে 32 কিলোমিটার দূরে সমুদ্র তল থেকে 1700 মিটার উচ্চতায় টপ স্টেশন অবস্থিত। এটি মুন্নার কোদাইকানাল রোডের সর্বোচ্চ বিন্দু। প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ুর বিস্তৃত সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মুন্নারে আসা পর্যটকরা একবার অন্তত এখানে আসে। বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ফুটে থাকা নীলাকুরিঞ্জি ফুল উপভোগ করার জন্য এটি মুন্নারের একটি অন্যতম স্পট।
চা মিউজিয়মচা আবাদের উৎস ও বিবর্তনের দিক দিয়ে দেখতে গেলে মুন্নারের নিজস্ব উত্তরাধিকার রয়েছে। এই উত্তরাধিকারের কথা মনে রেখে কেরালার উচ্চভূমিতে চা আবাদের সূচনা ও বৃদ্ধির কিছু চমৎকার ও আকর্ষনীয় বিষয় সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য কিছু বছর আগে টাটা টী মুন্নারে একটি মিউজিয়ম তৈরি করেছে।এই মিউজিয়মে হাতে তৈরি চা সংক্রান্ত জিনিসপত্র, মেশিন এবং ফটোগ্রাফ রয়েছে যার প্রত্যেকটির পিছনে মুন্নারে চা বাগিচার উৎস এবং উন্নতির গল্প লুকিয়ে আছে। মুন্নারের নল্লাথান্নি এস্টেটে টাটা টি র এই মিউজিয়মটি অবস্থিত এবং এটি পরিদর্শন যোগ্য।
Munnar কিভাবে যাবেনসবচেয়ে কাছের রেলওয়ে স্টেশনঃ আলুভা প্রায় 108 km দুরত্বে এবং আঙ্গামালি প্রায় 109 km দুরত্বে সবচেয়ে কাছের এয়ারপোর্টঃ কোচিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, আলুভা হয়ে মুন্নার বাই রোড 108 km
ভৌগলক অবস্থানঅক্ষাংশ : 10.091234, দ্রাঘিমাংশ : 77.060051
ভৌগলিক তথ্যব্রিস্টি : 275 cm
ম্যাপডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজম, গভর্মেন্ট অব কেরল, পার্ক ভিউ, কেরল, ইন্ডিয়া- 695033
ফোনঃ +91 471 2321132, ফ্যাক্সঃ + 91 471 2322279, ইমেল: info@keralatourism.org.
সমস্ত স্বত্ব © কেরল পর্যটন 2020. কপি রাইট | ব্যবহারের নিয়ম | কুকি নীতি | যোগাযোগ করুন
আই এন ভি আই এস মাল্টিমিডিয়া দ্বারা বিকাশকৃত এবং রক্ষিত।